বর্তমান সময়ের
সবচাইতে সুন্দর, আরামদায়ক, বেশি আয় এবং সন্মানজনক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে
ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং।
আর এই পেশার সাথে জড়িত হচ্ছে কিশোর, তরুন, যুবক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, টিউশনির পিছনে ছুটতে ছুটতে হয়রান, পেরেশান কিন্ত মেধাবী প্রাইভেট টিউশন টিচার, গৃহিণী থেকে সব ধরনের মানুষ। এই পেশায় কাজের অনেক পথ, অনেক প্রোগ্রাম আছে, যেগুলোর যে কোন একটা ভাল করে শিখে ফ্রিলান্সিং শুরু করা যায়। আর এই সব কাজগুলোর মধ্যে সবচাইতে সহজ, জনপ্রিয় এবং হাই রেটের কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং। যেটা যে কেউ একটু মনোযোগ দিয়ে শিখলেই করতে পারে। আর এর জন্য কম্পিউটারে তেমন কোন বিশেষ দক্ষতার দরকার হয় না। দরকার শুধু মনোযোগ আর সিরিয়াসনেস। তাহলেই এই পেশা থেকে প্রচুর আয় করা যায় ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং করে।
যেটা এক কথায় বলতে গেলে, ঘড়ে বসে অনলাইনে বিদেশী ক্লায়েন্টদের কাজ
করা। আর এটা যেহেতু একটা আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লেস, এজন্য এখানে কাজের রেট হয় ডলারে, ফলে আয়ের হার সাধারন চাকুরী থেকে অনেক
বেশি। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের অনেক সুনাম আছে। আমাদের বরিশালেও ধীরে ধীরে শুরু
হয়েছে ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং এর কাজ। গড়ে উঠেছে ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং ট্রেনিং একাডেমী। ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং পেশা নিঃসন্দেহে আগামী ১-২
বছরের মদ্ধেই দেশের অন্যান্য যে কোন পেশার গড় আয়কে ছাড়িয়ে যাবে। এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কাজেই আমাদের উচিত বরিশালের
শিক্ষিত সব মানুষকে এই কাজের গুরুত্ব বুঝানো , বিদেশীদের সাথে কাজ করার সিস্টেম, প্রফেশনালিজম, কোয়ালিটি এগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা
দেয়া। আর আমরা যদি এটা করতে সক্ষম হই, তাহলে অচিরেই বরিশাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক
শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর আমরা এক্ষেত্রে বরিশাল বাসির
পাশে সহায়ক শক্তি হিসেবে থাকতে পেরে গর্বিত। ইতিমধ্যেই আমাদের ব্যাচের ছেলেরা
অনলাইনে আয় করা শুরু করেছে এবং আমাদের ছেলেরাই বরিশালে এখন
পর্যন্ত ফ্রিলান্সিং, আউটসোরসিং এ ভাল আয় করা শুরু করেছে।
ক্লাস নাইনের ছেলেরা এখন ইনকাম করছে পড়ালেখার পাশাপাশি। স্মার্ট, প্রাণবন্ত এই তরুনদেরকে দেখলে এবং তাদের সাথে কাজ করার মজা এবং আনন্দই আলাদা।

No comments:
Post a Comment